হাইপার এসিডিটি হলো একটি মোস্ট কমন ডিজিজ।
হাইপার এসিডিটি কি:
হাইপার এসিডিটি হলো স্টমাকে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক জুস নিঃসৃত হওয়া। আমাদের স্টোমাকে যে গ্যাস্ট্রিক জুস আছে এটি হলো HCL বা হাইড্রোজেন ক্লোরাইড। আমরা যেই খাবার গুলো খাই HCL সেই খাবার গুলোকে ভাঙতে হজম প্রক্রিয়া সম্পুর্ন করে।
কিন্তু স্টোমাকে যখন অতিরিক্ত HCL এর প্রোডাকশন হয় এই কন্ডিশনকেই হাইপার এসিডিটি বলে।
আজকাল অনেকরই হাইপার এসিডিটি সমস্যা দেখা যায়।
এর বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো আমাদের খাদ্য অভ্যাস।
আমাদের খাদ্য অভ্যাসের কারণে হাইপার এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়।
খাদ্য ছাড়াও আরো বিভিন্ন কারণে হাইপার এসিডিটি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হাইপার এসিডিটির কারণ:
বিভিন্ন কারণে হাইপার এসিডিটি হতে পারে। তারমধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো আমাদের খাদ্য অভ্যাস। হাইপার এসিডিটির বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
মুভমেন্ট: শারীরিক পরিশ্রম না করে সবসময় শুধু শুয়ে বসে থাকা আর ঘন ঘন খাবার খাওয়ার কারণে হাইপার এসিডিটি হতে পারে।
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হাইপার এসিডিটি হতে পারে। আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকি। ওই সময় আমাদের হাইপার এসিডিটি হতে পারে।
অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাস: অনিয়মিত খাদ্য অভ্যাসের কারণে বেশীর ভাগ হাইপার এসিডিটি হতে পারে। আমারা অনেকেই সময় মত খাওয়া দাওয়া করি না। যার ফলে হাইপার এসিডিটি হয়।
খাদ্য তালিকা: আমাদের বেশীর ভাগেরই খাদ্য তালিকায় থাকে ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত, তেল চর্বি যুক্ত, অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার। এছাড়াও আমিষ জাতীয় খাবার বেশী বেশী খাবার ফলে হাইপার এসিডিটি হয়ে থাকে।
হাইপার এসিডিটি হলে কি হবে:
হার্টবার্ন: হার্টবার্ন বা বুক জ্বালাপোড়া । হাইপার এসিডিটি হলে হার্টবার্ন বা বুক জ্বালাপোড়া করে।
GERD: GERD বা গাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ হলো HCL মিশ্রিত কোনো কিছু স্টমাক থেকে ইসোফেগাসে চলে আসা। এবং এই কন্ডিশন টি দীর্ঘদিন থাকলে ইসোফেগাসে আলসার হতে পারে।
Esophagitis: ইসোফেগাসে দীর্ঘদিন HCL আসার ফলে ইসোফেগাসে ইনফ্লামেশন হয় । এই কন্ডিশন কে Esophagitis বলে।
Indigestion: Indigestion বা বদহজম। হাইপার এসিডিটির কারণে Indigestion বা বদহজম হয়ে থাকে।
Nousea: Nousea বা বমি বমি ভাব। হাইপার এসিডিটির কারণে Nousea বা বমি বমি ভাব হয়।
Vomiting: Vomiting বা বমি হওয়া। হাইপার এসিডিটি হলে অনেক সময় বমি হয়।
খাবার অরুচি: হাইপার এসিডিটি হলে খাবার প্রতি অরুচি হয়।
হাইপার এসিডিটি হলে কি করবেন:
হাইপার এসিডিটি হলে আমরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের অন্টিআলসারেন্ট খেয়ে থাকি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের অন্টিআলসারেন্ট পাওয়া যায়।
যেমন: Omeprazole , Esomeprazole, Pantoprazole, Rabeprazole, Lansoprazole, Dexlansoprazole, etc.
অন্টিআলসারেন্ট গুলো সাধারণত স্টমাকের হাইড্রোজেন ATPS পাম্প কে inhibit করার মাধ্যমে HCL এর অতিরিক্ত প্রোডাকশন কমায়।ফলে হাইপার এসিডিটি কমায়।
কিন্তু অন্টিআলসারেন্ট গুলো স্টোমাকের অতিরিক্ত এসিডকে নিউ করতে পারেনা। যেগুলো অলরেডী স্টমাকে তৈরি হয়ে গেছে।
এই অতিরিক্ত এসিড নিউট্রিলাইজ করতে অ্যান্টাসিড প্রিপারেশন এর মেডিসিন খেতে হয়।
Related Posts
Rate This Article
Thanks for reading: হাইপার এসিডিটি, Sorry, my English is bad:)